স্টাফ রিপোর্টার, দৈনিক চ্যানেল নিউজ :: জার্মানকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হতে বলেছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী বরিস পিস্টোরিয়াস। ইউরোপে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থেকে তিনি এই কথা বলেছেন।
বুধবার এক অনুষ্ঠানে বরিস পিস্টোরিয়াস বলেন, জার্মান নাগরিকদের যেকোনো ধরনের বাধ্যতামূলক সামরিক চাকরিতে ফিরে আসার প্রয়োজন হতে পারে। জার্মানির সশস্ত্র বাহিনী বুন্দেসভেরকে এই দশকের শেষ নাগাদ অভিযানের প্রস্তুতির জন্যও শক্তিশালী করা দরকার।
রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণ করার পর ইউরোপের সার্বিক নিরাপত্তাঝুঁকির কথা মাথায় রেখে জার্মানির প্রতিরক্ষামন্ত্রী এই উদ্বেগ প্রকাশ করেন। জার্মানির পার্লামেন্ট বুন্ডেসটাগে এক প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রতিরক্ষামন্ত্রী বরিস পিস্টোরিয়াস বলেন, আমাদের অবশ্যই ২০২৯ সালের মধ্যে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি এড়াতে আমাদের অবশ্যই প্রতিরোধব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
বরিস পিস্টোরিয়াস এসব কারণেই অর্থ বরাদ্দ, সামরিক উপকরণ ক্রয় ও নতুন সেনা নিয়োগ দেওয়ার বিষয়েও কথা বলেছেন। তিনি বলেন, জরুরি অবস্থায় আমাদের প্রয়োজন তরুণ শক্তিশালী নারী ও পুরুষদের, যারা এই দেশকে রক্ষা করতে পারবে। সম্ভাব্য করণীয় সম্পর্কে যাচাই-বাছাই করার জন্য নিজের মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনাও দিয়েছেন বরিস পিস্টোরিয়াস।
২০১১ সালে নাগরিকদের বাধ্যতামূলক সামরিক পরিষেবা স্থগিত করে জার্মানি। গত মার্চ মাসে প্রকাশিত গবেষণাপ্রতিষ্ঠান ফোরসার একটি জরিপ অনুসারে, প্রায় অর্ধেক জার্মান নাগরিক এটি পুনরায় চালু করার পক্ষে।
এদিকে বুধবার জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস জানিয়েছেন, তার সরকার প্রতিরক্ষা শিল্পকে সমর্থন করবে। রাজধানী বার্লিনে আন্তর্জাতিক মহাকাশ প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথিদের উদ্দেশে শলৎস বলেন, আজ আমরা আগের চেয়ে আরও পরিষ্কারভাবে দেখতে পাচ্ছি যে ইউরোপীয় ও জার্মান প্রতিরক্ষা শিল্প থাকা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। যেটি সব ধরনের অস্ত্র ও প্রয়োজনীয় গোলাবারুদ উৎপাদন করতে পারবে।
শলৎস বলেন, আন্তর্জাতিক আইন অমান্য করে ইউক্রেনের ওপর রাশিয়ার হামলা জার্মানিকে তার নিরাপত্তা নীতি নিয়ে নতুন বাস্তবতার মুখোমুখি করেছে।
অনুষ্ঠানে শলৎস জার্মানির প্রতিরক্ষাব্যবস্থা জোরদার করতে এয়ারবাসের কাছ থেকে আরও ২০টি ইউরোফাইটার জেট কেনার কথা জানান। সূত্র : ডয়চে ভেলে