স্টাফ রিপোর্টার, দৈনিক চ্যানেল নিউজ : বর্তমান সময় প্রতিটি বাড়িতেই ফ্রিজের ব্যবহার করা হয়। কিন্তু বিপত্তি বাধে যখন ফ্রিজ খারাপ হয়ে যায়। কারণ, এখন অনেকে বাড়িতেই তিন বেলা রান্না খুব কম হয়। সকালে একবার রান্না করে তারপর রাখা হয় ফ্রিজে। এরপর দুপুরে ও রাতে সেই খাবার গরম করে দিব্যি খাওয়া যায়।
আবার অনেক সময় বাড়িতে মেহমান আসলে অনেককিছু রান্না হয়, সেখান থেকে বেঁচে যাওয়া খাবার রাখা হয় ফ্রিজে। শুধু কী খাবার, ফল সবজি-দুধ-মিষ্টি-কাঁচাবাজার রেখে দেয়া যায়, পরে ইচ্ছা মতো নিয়ে রান্না করা যায়।
যেসব খাবারগুলো রেডি টু ইট সেগুলোও নিশ্চিন্তে রাখা যায় ফ্রিজে। কিন্তু তাই বলে সব খাবারই যে ফ্রিজে রাখলে ফ্রেশ বা ভালো থাকবে তা কিন্তু নয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ফ্রিজে রাখার কারণে কিছু খাবারের স্বাদ এবং মান নষ্ট হয়ে যায়। যা পরে আমাদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ঝুঁকিতে পড়তে হতে পারে।
চলুন তবে জেনে নেয়া যাক সেগুলো কী কী-
ডিম
সকালের নাস্তা মানেই ডিম। বিশেষজ্ঞদের মতে, ফ্রিজের ভেতর ডিম রাখলে তা উপকারের বদলে অপকার করে। ফ্রিজের তাপমাত্রা শূন্যের থেকেও কম থাকে তাই নিরাপদ। কিন্তু ডিমের ক্ষেত্রে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া জন্ম নেয়। আমাদের মধ্যে রেশিরভাগই মানুষই ডিম ফ্রিজে যত্ন করে রেখে দিই।
চিজ
চিজ ফ্রিজে রাখলে তার টেক্সচার হারাবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, দুধ দিয়ে তৈরি কোনো কিছুই ফ্রিজে রাখা উচিত নয়। যেমন ধরুন- ফ্রিজে দুধ রাখলে তা দইয়ের মতো হয়ে যায়। আবার, চিজ ফ্রিজে রাখলে তারও স্বাদ এবং আকারের অনেকটাই পার্থক্য দেখা যাবে।
ভাত
হয়ত আপনি ভাত তৈরি করে ফ্রিজে রেখে দেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, ফ্রিজে ভাত রাখলে এর স্বাদ বাড়ে তো না, উল্টো সমস্যা তৈরি করে শরীরে। ফ্রিজে ভাত সংরক্ষণ করলে ডিফ্রোস্ট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা স্বাদহীন, মশলাদার নোংরা হয়ে যাবে। সবচেয়ে ভালো কাজ হলো ভাত রান্না করার পরপরই খাওয়া।
আলু
ঠান্ডা তাপমাত্রায় রাখলে আলুর স্টার্চ শর্করায় পরিণত হয়ে যায়। এরপর যদি আমরা তা খাই তাহলে শরীরের শর্করার পরিমাণ বেড়ে যায় বেশ কিছুটা। এর ফলে ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়।
পেঁয়াজ
বিশেষজ্ঞদের মতে পেঁয়াজ সব সময় খোলা রাখাই শ্রেয়। ফ্রিজে পেঁয়াজ রাখলে তা তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়। তাছাড়া ফ্রিজে আপনি যদি খোলাভাবে রাখেন তাহলে তা থেকে গন্ধও বের হয়।
রসুন
একই ব্যাপার হয় রসুনের ক্ষেত্রে। আপনি যদি রসুনের খোসা না ছাড়িয়ে ফ্রিজে রেখে দেন তাহলে আর্দ্রতার কারণে তা তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, পেঁয়াজ, আলুর মতো রসুনকেও খোলা জায়গায় সংরক্ষণ করা উচিত নয়। এ ছাড়া রসুনের গন্ধ ফ্রিজে একবার ছড়িয়ে পড়লে তা দূর করা বেশ মুশকিল।